হাদিসে সোনাপাতা সম্পর্কে বলা হয়েছে আসমা বিনেত উমাইস (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুল পাক (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি জুলাবের জন্য কী ব্যবহার কর?’ তিনি শিবরমের নাম বললেন। তখন রসুলে পাক (সা.) বললেন ‘এটা খুবই গরম।’ অতএব হজরত আসমা (রা.) পুনরায় আরজ করলেন, ‘আমি সোনাপাতা দ্বারা জুলাব নেই।’ তখন রসুলে পাক (সা.) এরশাদ করলেন, ‘যদি কোনো জিনিসের দ্বারা মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়া যেত তবে তা সোনাপাতার দ্বারা পাওয়া যেত।’ তোমরা অবশ্যই সোনাপাতা ব্যবহার করবে, কেননা এটা মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের শেফাদানকারী মহৌষধ।’
সোনাপাতার পুষ্টি গুণাগুণ
সোনাপাতা দেখতে অনেকটা মেহেদি পাতার মত হলেও, গুণাগুণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। এতে রয়েছে ১.৫-৩% হাইড্রোজায়ানথ্রাসিন গ্লাইকোসাইড, প্রধানত সেনোসাইড এ এবং বি যা রেইন-হায়ানথ্রোন এবং কম পরিমাণে সেনোসাইড সি এবং ডি যা রেইন-এলো-ইমোডিন-হেটেরোডায়ানথ্রোন, ন্যাপথলিন গ্লাইকোসাইড ফ্ল্যাভোনয়েড(কেম্পফেরল এবং আইসো-রামানিটিন এর ডেরিভেটিভ), ১০-১২% খনিজ উপাদান, ৭-১০% মিউসিলেজ(গ্যালাক্টোজ, এরাবিনোজ, রামনোজ এবং গ্যালাকটিউরোনিক এসিড), প্রায় ৮% পলিঅল (পিনিটল); সুগার(গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ) এবং রেজিন। এসকল খনিজ, লবণ, ক্যালসিয়াম, ফ্ল্যাভোনয়েড নামক এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানগুলো সোনাপাতার ভেষজ গুণাগুণ বহন করে এবং মানুষের নানবিধ সমস্যা সমাধানে উপকারে আসে।
সোনাপাতার উপকারিতা
এ থেকেই সোনাপাতার কার্যকারিতা ও গুরুত্ব কতটা ব্যাপক তা ধারণা পাওয়া যায়।
সোনাপাতার সঠিক ব্যবহারে হাজারো রোগ থেকে নিরাময় পেতে পারেন। এই পাতা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় হিসেবে অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে।
– সোনা পাতায় এনথ্রানয়েড নামের একটি উপাদান রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়াকে কার্যকর রাখতে সহায়তা করে।
– গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।
– ক্ষুধা ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
– রুচি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
– কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।
– অর্শ রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
– ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভালো কাজ করে।
– উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
ব্যবহারবিধি
প্রণালী ১ : এই পাতা আস্ত অথবা গুঁড়া করে ব্যবহার করা যেতে পারে।যদি গুঁড়া ব্যবহার করা হয়, তাহলে এক বা দেড় চা-চামচ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে চার-পাঁচ ঘণ্টা। এরপর সকালে খালি পেটে পান করতে হবে (দিনে ২০-৩০ গ্রাম এবং একবারের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়)। তাই সকলের আস্থার জায়গা রেখেছে Mr. Royal Express, আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে সোনাপাতার গুঁড়া ।
যেহেতু সোনাপাতার গুঁড়া অধিক কার্যকরী সেহেতু Mr. Royal এর সোনাপাতা গুঁড়া খাওয়াই উত্তম। সেক্ষেত্রে হাফ চা চামচ সোনাপাতা গুঁড়া এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে ৫ মিনিট পর খেয়ে নিতে হবে। সোনাপাতা গুঁড়া চায়ের সাথেও খাওয়া যায়।পেট নরম হয়ে এলে বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে গেলে এই পাতার ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।
বা দুই কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ শুকনা পাতা ফুটিয়ে এক কাপ পরিমাণ করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করতে পারেন।
সতর্কতা
অন্ত্রের ক্ষত, প্রদাহ, অ্যাপেন্ডিসাইটিস ও যকৃতের ক্যান্সারের রোগীদের সোনা পাতা ব্যবহার না করাই উত্তম।আমাশয়, পাতলা পায়খানা জনিত সমস্যা থাকলে সোনাপাতা খাওয়া যাবে না। এছাড়া গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মা, বৃদ্ধ, শিশু ও দুর্বলদের জন্য সোনাপাতা খাওয়া নিষেধ।