Uncategorized

Aloevera for skin. ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা।

ত্বক এবং চুলের যত্নে অ্যালোভেরা​ জেল ব্যবহার

অ্যালোভেরা ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় এবং এর অনেক উপকারিতার জন্য এটি খুব জনপ্রিয়।   অ্যালোভেরা জেল করতে পারে না এমন কিছুই নেই। এই আলোভেরা জেল, অনেক কসমেটিক্স , স্কিন কেয়ার পন্যে ব্যবহৃত হয়। এটি শুষ্কতা, ব্রণ এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে।অ্যালোভেরা গাছের পাতার ভেতরে থাকা জেলের প্রায় পুরোটাই পানি। পানির পাশাপাশি নানা ধরনের ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেলে এই জেল থেকে। অ্যালোভেরা জেল যেমন রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায়, তেমনি পুষ্টিকর পানীয় হিসেবেও এর রয়েছে কদর। জেনে নিন এর কিছু ব্যবহার সম্পর্কে। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন-এ, বি৬ ও বি২ ইত্যাদি, যা স্বাস্থ্যরক্ষার বিভিন্ন কাজে লাগে।

  1. অ্যালোভেরা জেলে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শুষ্ক ত্বকের যত্নে অনন্য। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন ত্বকে। ত্বক হবে নরম ও উজ্জ্বল।
  2. ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল।
  3. ত্বক থেকে মেকআপ ওঠাতে তুলায় লাগিয়ে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
  4. লালচে হয়ে যাওয়া ত্বকে কিংবা অ্যালার্জির প্রকোপ কমাতে এই জেল ব্যবহার করা যায়।
  5. শেভিং জেলের বিকল্প হিসেবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যায়। এজন্য ১/৩ কাপ অ্যালোভেরা জেল, ১/৪ কাপ লিকুইড সাবান, ১ টেবিল চামচ বাদামের তেল, ১ চা চামচ ভিটামিন ই অয়েল এবং ১/৪ কাপ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন।
  6. ত্বকের মরা চামড়া দূর করতে সাহায্য নিতে পারেন অ্যালোভেরা জেলের। মোটা দানার চিনির সঙ্গে এই জেল মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
  7. ভ্রূ লম্বা ও ঘন করতে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখতে পারেন।
  8. ফেটে যাওয়া গোড়ালির যত্নে অতুলনীয় অ্যালোভেরা জেল। আধা কাপ ওট, আধা কাপ কর্নমিল, ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও আধা কাপ লোশন একসঙ্গে মিশিয়ে গোড়ালিতে ঘষুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।

এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

অ্যালোভেরার যে উপকারিতা আপনার অবশ্যই জানা উচিতঃ

অ্যালোভেরার পাতা থেকে চামচ দিয়ে জেল বের করে নিন অথবা এক্সিলেন্ট এলোভেরা জেল ব্যাবহার করতে পারেন কেন না এক্সিলেন্ট এলোভেরা জেল কোন কেমিকেল ছাড়া প্রাকৃতিক উপায় আপনাদের সকলের জন্য তৈরি করেছেন এক্সিলেন্ট এলোভেরা জেল ।

এলোভেরা জেল এর মধ্য়ে মিশিয়ে দিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল। সামান্য পরিমাণে গোলাপ জল মেশাতে পারেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফাটিয়ে তার মধ্যে থেকে তরল এই জেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এটিই ত্বকে প্রয়োগ করুন। সংরক্ষণ না করাই ভালো। চাইলে এক সপ্তাহ রাখতে পারেন। এয়ারটাইট কৌটোয় ঠান্ডায় সংরক্ষণ করবেন।

 আপনি ময়শ্চারাইজার ক্রিমের পরিবর্তে অ্য়ালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। অ্য়ালোভেরা জেল আসলে ভালো ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। অ্যালোভেরা জেল শুধুই ত্বকের জেল্লা ফেরায় না, বরং আপনার ত্বকে ব্রণর সমস্যা থাকলে তাও ঠিক করে দিতে পারে। কারণ, এতে হিলিং উপাদান আছে, যা ত্বকের প্রদাহ কমায়। অ্যালোভেরা জেলে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান। তাই এটি আপনার ত্বক পরিষ্কার রাখে।এখন যা রোদের দাপট, তাতে ত্বকে সানবার্ন হওয়ার কোনও অবাক করার বিষয় নয়। আপনার ত্বকে যদি সানবার্ন হয়ে যায়, তবে সেই নির্দিষ্ট স্থানে নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিতে পারেন। ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগালে সেখানে একটি সুরক্ষিত স্তর তৈরি করে।যা আসলেই আপনার ত্বকের জন্য খুবই ভালো। রোদের হাত থেকে এভাবেই ত্বককে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন।

ডার্ক স্পট ফেড করা

অ্যালোভেরার ভেতর অসংখ্য ভিটামিন, এনজাইম, খনিজ এবং অ্যামিনো অ্যাসিড আপনার ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যকে অনেক ইম্প্রুভ করে। এটি ত্বকের কোষের রিজেনারেট করতে পারে, ব্রণের দাগ, ব্লেমিশ এবং কালো দাগ কমাতে পারে আর আপনাকে ফ্ললেস, সুন্দর ত্বক দিবে।

ইনফ্লেমেশন কমানো

অ্যালোভেরার একটি উপকারিতা হল এটি ইরেটেডেট এবং swollen ত্বককে calm রাখে। অ্যালোভেরা জেলের অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী প্রচুর, এবং এটি ইনফ্লেমেশন, রেডনেস, ইনফেকশন, র‍্যশেস এবং ইচিং কমাতে সাহায্য করে। আপনার মাথার ত্বক আপনার মুখের ত্বকের একটি এক্সটেংশন বলা হয়  তাই আপনার চুলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করে মাথার ত্বকের চুলকানি এবং ফ্ল্যাকিং কমানো যেতে পারে।

হাইড্রেশন বৃদ্ধি

আপনার ত্বককে হাইড্রেট করার জন্য অ্যালোভেরার একটি অন্যতম প্রধান ইনগ্রিডিয়েন্ট হতে পারে। এটা ব্যবহারে নরম, আরও ময়শ্চারাইজড ত্বক পা্বেন কারণ এটি আর্দ্রতা ধরে রাখে। অ্যালোভেরার রিংকেলস এবং সূক্ষ্ম রেখা হ্রাসের পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আনে। আপনার চুলও এটি থেকে ব্যাপকভাবে উপকার পাবে। এটি আপনার মাথার ত্বককে তীব্র হাইড্রেশন দেয় এবং আপনাকে রেশমি, ফ্রিজ-মুক্ত চুল দেয়। সিল্কি, মসৃণ চুল পেতে এটিকে লিভ-ইন কন্ডিশনার বা প্রি-ওয়াশ হেয়ার মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরার আরও যে উপকারিতা আপনার অবশ্যই জানা উচিতঃ

স্বাস্থের জন্য উপকারিতা

অ্যালোভেরা অনেক উপকার দেয় কারণ এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। ফ্রেশ এবং মডারেটলি খাওয়ার কারণে এটি রক্তচাপ এবং রক্তে সুগার এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সকালে খালি পেটে এটি প্রথম জিনিস খাওয়া হলে, এটি মেটাবলিসম বাড়াতে এবং ডাইজেস্টে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

অ্যালোভেরা হলো অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের টক্সিন উপাদান দূর করে থাকে। অ্যালোভেরা জেলের জুস নিয়মিত পান করতে পারেন। এটি দেহে সাদা বøাড সেল গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।

মুখের দুগর্ন্ধ দূর করতে

২০১৪ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে অ্যালোভেরা জেল মাউথ ওয়াশের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে ভিটামিন সি আছে যা মুখের জীবাণু দূর করে মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্তপাত বন্ধ করে দিয়ে থাকে। এ ছাড়া মুখের দুগর্ন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে

অ্যালোভেরা রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। থাইল্যান্ডে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জুস রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এবং ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে থাকে।

মুখের ঘা প্রতিরোধে

মুখের ঘা এবং দঁাতের পোকা রোধ করতেও অ্যালোভেরা জেল কাযর্কর। মুখের ঘায়ের স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিতে পারেন, এটি ঘা ভালো করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে

নতুন গবেষণা অনুসারে অ্যালো- ইমোডিন নামক উপাদান অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে যা স্তন ক্যান্সার ছড়ানো রোধ করে থাকে। অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধেও অ্যালোভেরা জেল বেশ কাযর্কর।

ওজন কমাতে

অ্যালোভেরা জেলে ম্যাগনেশিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম আরও অনেক মিনারেল রয়েছে যা ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে।

রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে

অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে।

ক্ষতিকারক পদাথর্ অপসারণ করতে

দেহে ক্ষতিকর পদাথর্ প্রবেশ করলে তা অপসারণ করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা।

চর্মরোগ ও ক্ষত সারায়

অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। বিভিন্ন চমের্রাগ ও ক্ষত সারায় এটি। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এটি।

ক্লান্তি দূর করতে

অ্যালোভেরার জুস ক্লান্তি দূর করে দেহকে সতেজ করে।

হজমশক্তি বাড়াতে

নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে হজমশক্তি বাড়ে। পরিপাকতন্ত্রের নানা জটিলতা সারাতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা।

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে

সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এ ছাড়া অ্যালোভেরা জেলে প্রায় ২০ রকম অ্যামিনো এসিড আছে যা ইনফ্লামেশন এবং ব্যাকটেরিয়া রোধ করে হজম, বুক জ্বালাপোড়া রোধ করেছরমর

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো কী?

যদিও অ্যালোভেরা জেল ত্বকের চিকিৎসার জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়েছে, তবে এটা বড় এবং গভীর রোগ নিরাময় করতে সক্ষম নাও হতে পারে। প্রাথমিকভাবে, কিছু লোক ত্বকের ধরণ নির্বিশেষে হাল্কা জ্বালা ভাবও অনুভব করতে পারে।

আপনি যদি অ্যালোভেরা জেল আপনার ত্বকে দীর্ঘ সময় ধরে প্রয়োগ করে থাকেন, তবে এতে আপনার ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে, ত্বকে টান পড়তে পারে। অতএব, কয়েক মিনিট পরে এটা ধুয়ে ফেলুন এবং আপনার ত্বকে শুকিয়ে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *